ফের প্রকাশ‍্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব : যুব নেতা তোপ দাগলেন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে

16th October 2020 4:37 pm বাঁকুড়া
ফের প্রকাশ‍্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব : যুব নেতা তোপ দাগলেন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  হুগলি জেলার পর পর এবার বাঁকুড়া জেলাতেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব Iআসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী, দলের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের 'এক সাথে চলা'র বার্তা দিয়েও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অন্যতম সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস এক হাত নিলেন দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে। ব্লক তৃণমূল মহিলা ও যুব তৃণমূলের ডাকে কৃষি বিল, জাতীয় সম্পদ বেসরকারীকরণ, মূল্যবৃদ্ধি ও উত্তর প্রদেশের হাথরাসের ঘটনার প্রতিবাদে রানীবাঁধে  মহা মিছিল শেষে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুব তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন মানে সামনে কঠিন লড়াই। আর এই লড়াইয়ের আগে যারা দলবাজি-লবিবাজি করছেন, দল ক্ষমতা থেকে সরে গেলে কিন্তু ঐ চেয়ার থাকবেনা বলেও হুঁশিয়ারী দেন। এর পরেই বলেন, জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা এই মঞ্চকে 'অবৈধ' ঘোষণা করেছিলেন। আর রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস রানীবাঁধে মিছিল ও সভা করলেন বলে জানান। পরে সাংবাদিকদের মুখো মুখি হয়ে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস বলেন, উনি (জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা) শাখা সংগঠনের প্রত্যেক নেতৃত্বকেও এদিনের কর্মসূচীতে আসতে নিষেধ করেছিলেন। আমি প্রত্যেককেই চিঠি করেছিলাম। জেলা সভাপতি কিসে সন্তুষ্ট আমি জানিনা, আর পরোয়া করিনা। মানুষ আমার সাথে ও পাশে আছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ এ দিদিকে ফের মসনদে বসানো। জেলা সভাপতি ওনার মতো রাজনীতি করছেন, আমরা বিধানসভার দায়িত্বে যারা আছি তারা তাদের মতো রাজনীতি করছি। দলের স্থানীয় বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি, দায়িত্ব প্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্ম্মুর এদিনের কর্মসূচীতে অনুপস্থিতিতে প্রসঙ্গে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস বলেন, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কে আসবেন আর কে আসবেননা সেটা তার ব্যাপার





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।